হোটেলে বন্দিদশা। জানালা দিয়ে নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া। বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রত্যেক সদস্য বলতে গেলে ট্রমায় চলে গেছেন। গতকাল বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় পা রাখার পর জামাল ভূঁইয়া-ফয়সাল আহমেদ ফাহিমরা ফেলেছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।
তবে ভয়ংকর যে অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাতে ফুটবলাররা ট্রমায় আছেন। স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের ফেরানোর জন্য মনোবিদের ব্যবস্থা করবেন বলে গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, আমাদের চিকিৎসার প্রক্রিয়া রয়েছে। সেখানে অবশ্যই আমরা মানসিক কোচিং, সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেব যাদের প্রয়োজন হয়। যাদের লাগবে না, তাদেরও আমরা অ্যাসেসমেন্ট করব কারণ অনেক সময় এ রকম পরিস্থিতিতে ফিজিক্যাল শক হয়। আমরা এই বিষয়ে সচেতন রয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের মেডিকেল টিম প্রস্তুত ছিল ফুটবলারদের বিশেষভাবে চিকিৎসাজনিত কিছু প্রয়োজন হলে।
নেপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর পর্যায়ে চলে গিয়েছিল আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশের ফুটবলারদের হোটেলেও হামলা করতে এসেছিল। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আছেন বলে পরে তারা চলে যায়। এসব বিষয়ও বাফুফের জানা ছিল। তাই বিকল্প চিন্তা ফেডারেশন করে রেখেছিল বলে জানান তাবিথ, আমাদের টিম হোটেলের পাশে আগুন লেগেছিল। আমরা কিন্তু আগেই আমাদের টিমের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় লোকেশন ঠিক করে রেখেছিলাম।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তা মিলিয়ে ৩৭ জন ছিল। তাদের সঙ্গে বিশেষ বিমানে করে ঢাকায় এসেছেন নেপালে ফুটবল ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া ১৭ জন সাংবাদিকও। এই প্রসঙ্গে তাবিথ বলেন, সবাই মিলে আমরা ফুটবল ও ক্রীড়া পরিবার। শুধু ২৩ জন ফুটবলার নন, মিডিয়াসহ সবাইকে নিয়েই আমরা ফুটবলাঙ্গন। যখন আমরা রেসকিউ মিশনের পরিকল্পনা করেছি, তখন কাঠমান্ডুতে থাকা মিডিয়ার ভাই-বোনদের নিয়েই কাজ করেছি।
কাঠমান্ডু এয়ারপোর্ট সচল হওয়ায় ২০ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ দলকে ঢাকায় পৌঁছানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান বাফুফে সভাপতি, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ দূতাবাস কাঠমান্ডুর সবাই আন্তরিকভাবে সহায়তা করেছে। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, আর্মি এবং আর্মড ফোর্সডকে, যারা সফলভাবে কাঠমান্ডু থেকে সবাইকে নিয়ে দেশে এসেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে